ছুরি হাতে জনসম্মুখে হামলা; টঙ্গীর সেই আলোচিত কিশোর গ্রেপ্তার
বি এ রায়হান, গাজীপুর : গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো ছুরি (সুইচ গিয়ার) নিয়ে এক কিশোরের হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সেই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দত্তপাড়া হাজী মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার কিশোরের নাম মিজানুর আলম সাব্বির ওরফে কেবিডি (১৮)। সে টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকার মোঃ শাহ আলমের ছেলে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিন) মোঃ ইলতুৎ মিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কিশোর মিজানুর আলম সাব্বির এলাকায় কেবিডি নামে পরিচিত। কিশোর অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার কারণে বাবার বাসা থেকে গত এক বছর আগে তাকে বের করে দেওয়া হয়। তাছাড়া তার বাবা-মায়ের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেলে তার মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। একারণে অভিভাবকহীন সাব্বির অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সজল সরকার তার বাসায় আশ্রয় দেয় সাব্বিরকে। সজল সরকার স্থানীয় ৪৮ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। সজলের বাসায় থেকে এলাকায় ছোট বড় কিশোর, যুবকদের সাথে চলাফেরা করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে যুক্ত হয় কেবিডি সাব্বির। এলাকার অলি-গলিতে বিভিন্ন সময় মারামারির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কেবিডি সাব্বিরের সাথে আরো কিছু উঠতি বয়সী তরুণ ও কিশোর রয়েছে যারা এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিন) ইলতুৎ মিশ বলেন, বৃহস্পতিবার ধারালো ছুরি হাতে বনমালা এলাকায় এক কিশোরের হামলার ভিডিও আসে আমাদের হাতে। সেই ভিডিও দেখে পুলিশের একটি টিম দত্তপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর সাব্বির ওরফে কেবিডিকে গ্রেপ্তার করেছে। তার সঙ্গে অপরাধ প্রবণ আরও বেশ কয়েকজন কিশোর ও যুবকের নাম হাতে এসেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোঃ ইলতুৎ মিশ আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির পুলিশকে জানিয়েছে কেবিডি এর পূর্ণাঙ্গ নাম- কে তে- কামলা, বি তে- বলদ, ডি তে- ডমেস্টিক, অর্থাৎ কেবিডি এর পূর্ণনাম কামলা বলদ ডমেস্টিক। তার সহযোগীরা তাকে এই নামেই ডাকতো। এর বাহিরেও তার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর টঙ্গীর বনমালা (শান্তিবাগ) এলাকার এইচএম মেহেরের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় শুক্রবার টঙ্গী পূর্ব থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।